ঢাকা: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পোশাক কারখানা ধ্বসের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানাগুলো পরিদর্শন শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার রেটেইল প্রতিষ্ঠান ‘কেমার্ট অস্ট্রেলিয়া’।
প্রখ্যাত সংবাদ সংস্থা এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘কেমার্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউ রুসো জানান, “বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বন্ধ করবে না ‘কেমার্ট’।
যদিও এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ কোনো কারখানা থেকে পোশাক ক্রয় করেনি, তবু শ্রমিকদের অরক্ষিত রেখে পোশাক উৎপাদন করে এমন অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে পোশাক ক্রয়ের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠনগুলোর চাপে রয়েছে ‘কেমার্ট’।
বুধবার এবিসি নিউজের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ‘কেমার্ট’ কর্মকর্তা রুসো বলেন, “সুরক্ষিত কর্মসংস্থানের স্বার্থে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সবকিছু করছি আমরা। ”
তিনি বলেন, “অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক দিয়ে কাজ করায় এমন কারখানা ও ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ‘কেমার্ট’। ”
স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং শ্রমিক নিরাপত্তাকে অবজ্ঞা করে পোশাক উৎপাদন করে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করার ব্যাপারে ‘কেমার্ট’র সবসময় ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে বলে জানান রুসো।
তিনি বলেন, “এই কঠোর সিদ্ধান্ত শুধু এশিয়ার জন্য নয়, অস্ট্রেলিয়ার পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও আমাদের এই বক্তব্য। ”
বাংলাদেশের শ্রমশক্তি গার্মেন্টস শিল্পের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় আমি এই কথাটি পরিষ্কার শুনতে পেয়েছি ‘আমাদের ছেড়ে যেও না, আমাদের বাঁচাও’!”
এ ধরনের দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকরা বেশিরভাগই সমাজের নিম্নবিত্ত পর্যায় থেকে উঠে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর