ঢাকা: সেনা অভ্যুত্থানের মুখে মিশরে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। একইসঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী সংবিধান স্থগিত করেছে।
মিশরের সেনা প্রধান আবদুল ফাতাহ আল-সিসি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে সংবিধান বাতিলের ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট মুরসি মিশরের জনগনের দাবি পূরণে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, প্রধান বিচাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন। খুব শিগগিরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সেনাপ্রধানের এমন ঘোষণার পর তাহরির স্কয়ারে মুরসির পদত্যাগের দাবিতে জমায়েত হওয়া হাজার হাজার জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে। অন্যদিকে মুরসির সমর্থনকারী ‘সামরিক শাসন নয়’ বলে চিৎকার করে।
বিবিসি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত খবরে এসময় আকাশে মুহুর্মুহু আতঁশবাজি ফোটাতে দেখা যায়।
গত চারদিন ধরে মুরসি বিদ্রোহীরা কায়রোর রাজপথে বিক্ষোভ করছে। দেশব্যাপী বড় কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া না গেলেও দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ‘মারসা মাথরো’তে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে।
এছাড়া আলেক্সিন্দ্রায় আরো একজন নিহত হয়েছে। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ জনে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের মালিকানাধীন ‘মিসর২৫’ চ্যানেলের পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাছাড়া নিরাপত্তা কর্মীরা কায়রোতে আল-জাজিরার টিভি চ্যানেল ‘মুবাশার মিসর’এ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
ব্রাদারহুডের কর্মকর্তারা বলছেন প্রেসিডেন্টে মুরসিরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারি সংবাদপত্র আল- আহরাম জানান মুসলিম ব্রাদারহুদের তিন শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মিশরে দ্রুত শান্তি কামনা করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিশরের সর্বশেষ ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়ে দ্রুত বেসামরিক জনগনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৪
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর