নয়াদিল্লি: তিস্তা নদীতে একাধিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প নেওয়ায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের আপত্তির কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
কলকাতার মহাকরণে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিস্তার ওপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে রাজ্য একদিকে যেমন চাষের জন্য পানি পাবে না, তেমনি বর্ষা মওসুমে পানি ছাড়লে বন্যার আশঙ্কা থাকছে। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনওভাবেই এই প্রকল্প মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়ে জানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবেন রাজীব।
তিস্তার ওপর ১০টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রকল্প রয়েছে সিকিম সরকারের। তার মধ্যে রাম্ভী, পূর্ব সিকিম ও কালীঝোরায় তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। একটির নির্মাণকাজ চলেছে।
রাজীব বলেন, ‘এতগুলো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে তিস্তার পানি রাজ্যে নামবে না। ফলে তিস্তার পানিতে যে চাষ-আবাদ হয়, তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া বন্যার আশঙ্কাও থাকছে। তাই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞরা যতক্ষণ পর্যন্ত না ছাড়পত্র দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কাজ কোনওভাবেই করা যাবে না।
তিনি জানান, এভাবে প্রকল্প হলে উত্তরাখণ্ডের মতো অবস্থা হলেও আশ্চর্য হওয়ার নয়। রাজ্যের বন্যা মোকাবিলায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির ফ্লাড কমিশনের অফিসে ও জলসম্পদ ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তৈরি করা হয়েছে মনিটরিং অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন কমিটিও।
এছাড়া সেচমন্ত্রীকে না জানিয়ে কোনও বাঁধ কর্তৃপক্ষ পানি ছাড়তে পারবেন না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর, এসএস