ঢাকা: মুরসিকে অপসারণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র অখুশি হয়নি, অন্তত বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওবামার শব্দ চয়নে সেটাই মনে হতে পারে।
তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় ‘অভ্যুত্থান’ শব্দটি একবারও উল্লেখ করেননি।
বলা হচ্ছে ওবামা তার বক্তব্যে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপকে সরাসরি সমর্থন দেননি, কিন্তু একই সঙ্গে তিনি এতে অসমর্থনেরও কোন ইঙ্গিত দেননি।
তার প্রতিক্রিয়ায় বরং সামরিক বাহিনীর প্রতি একটি নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাটি হলো দ্রুততার সঙ্গে একটি বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পন। আর গোপন ইঙ্গিতটি হলো, ওই নতুন সরকার ব্রাদারহুড সমর্থিত না হলেই ভালো।
যদি ওবামা তার প্রতিক্রিয়ায় ‘অভ্যুত্থান’ শব্দটি উল্লেখ করতেন তবে হয়তো মিশরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ সাহায্য হুমকির মুখে পড়তো। কারণ নিজেদের ঘোষিত ‘অসাংবিধানিক’ সরকারকে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে আইনগত জটিলতায় পড়তে হতো ওবামা প্রশাসনকে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ওবামা প্রশাসন মিশরের পরিস্থিতিতে নিজেদের অনুকূলে রাখার জন্য পিচ্ছিল অবস্থান গ্রহণ করেছে।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য বা গোপনে মিশরের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যা ঘটেছে ওবামা তা গ্রহণ করেছেন।
তবে ওবামার বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে সামরিক বাহিনীর সংযম প্রদর্শনের বিষয়টি। পাশাপাশি একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি ও প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারেও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ এতে মুরসির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ নেই, বরং রয়েছে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের।
বাংলাদেশ সময়:১৪০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর