ঢাকা: মিশরের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিশরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার এক দিনের মধ্যেই তার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলো।
দেশটির সেনা ও বিচারের বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বাদেই ও তার ডেপুটি খয়রাত আল-শাতেরেরও নাম রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
গত বছরের নির্বাচনে দলের প্রার্থী হয়ে মোহাম্মদ বাদেইয়ের লড়াই করার কথা ছিল। অবশেষে মুরসিকে মনোনয়ন দেওয়া হয় দল থেকে।
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাখার পর তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সেনাবাহিনী। তবে তার অবস্থান এখনও জানা যায়নি।
বুধবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এর আগে মুরসিকে বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এ আল্টিমেটাম শেষ হয়ে যায়।
আল্টিমেটাম শেষ হবার আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখলে নেয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর নির্দেশ মতো সমাধানে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান আল-সিসি।
এরই মধ্যে মিশরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মাহমুদ মনসুর।
মুরসির পতনের পর মুরসির সমর্থক ও বিরোধীদের সহিংসতায় মিশরজুড়ে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গণজাগরণের মাধ্যমে ২০১১ সালে দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকা হোসনি মোবারককে ক্ষমতা থেকে সরায় মিশরীয়রা। এরপর প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মোহাম্মদ মুরসির এক বছর যেতে না যেতেই তাকেও ক্ষমতা থেকে নামানো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com