ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

বাংলানিউজের সংবাদের জেরে পদত্যাগ জোড়ালো

সৌদি আরব করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২১, জুলাই ৪, ২০১৩

রিয়াদঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে গত বুধবার সকালে ‘রিয়াদে বাংলাদেশ স্কুলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুর্নীতির মহোৎসব’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে স্কুল পরিচালনা কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান ডাক্তার কামরুল ইসলামের দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়।



সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মাথায় পাঠকদের মাধ্যমে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর সংবাদটিকে স্বাগত জানানো হয়।

সংবাদটির সূত্র ধরে অনেক অভিভাবক এবং সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা অনতিবিলম্বে এই চেয়ারম্যানসহ পুরো পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য দূতাবাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কামরুলের পরিষদ থেকে পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার কাজী মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংবাদে প্রকাশিত প্রতিটি অভিযোগের তদন্তপূর্বক চেয়ারম্যানের বিরুব্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দূতাবাসের কাছে দাবি জানাই।

তিনি আরও বলেন, দূতাবাসের উচিত তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্নীতির হাত থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এই স্কুলকে বাঁচানো।

স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সংবাদে প্রকাশিত অনিয়মের বিষয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

দূতাবাস আমাদের অভিভাবক তাই বিষয়টি দূতাবাসের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত, বলেন শাহ আলম।

সিনিয়র অভিভাবক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, বাংলানিউজের সংবাদে স্কুলের প্রকৃত সত্য ফুটে উঠেছে।

তিনি কামরুলের হাত থেকে স্কুলটিকে বাঁচানোর তাগিদ দেন।
রিয়াদ আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, স্কুলের চেয়ারম্যানের অপকর্ম এতোদিনে প্রকাশিত হয়েছে।

এই সংবাদের পর আর তার(চেয়ারম্যান) পদে থাকার অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্কুলের অভিভাবকদের একটি সংগঠন প্রগ্রেসিভ জেনারেল পেরেন্টস ফোরামের(পিজিপিএফ) চেয়ারম্যান ড. মির হাসান তার ফেসবুক প্রতিক্রিয়ায় লিখেন, Very sad......how long parents will tolerate these...activities..


তিনি টেলিফোনে বাংলানিউজকে জানান, দূতাবাসের উচিত নিরপেক্ষ অভিভাবকদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি সবার কাছে পরিস্কার করা।

পিজিপিএফের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মোহাম্মদ মাসুদ আক্তার বলেন, স্কুলটির প্রশাসনিক অভিভাবক হিসাবে দূতাবাসের উচিত তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেওয়া।

সিনিয়র অভিভাবক প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন বলেন, স্কুলের চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগিদের দুর্নীতির খবর আগে শুধু আমরা (অভিভাবক) জানতাম। এখন দেশ বিদেশের লাখ লাখ মানুষ জানলো।

এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিত বলে মত দেন তিনি।

রিয়াদের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার আগেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো। এই পরিষদ ভেঙে দিয়ে অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে দূতাবাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অভিভাবক পর্ষদের এক সদস্য জানান, প্রতি তিন মাসে একবার জেনারেল মিটিংয়ের নিয়ম থাকলেও তার দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে বছর পেরিয়ে গেলেও তা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫জনের বেশী অভিভাবক এবং সাবেক পরিষদ সদস্য সৌদি আরব করেসপন্ডেন্টের মাধ্যমে উল্লেখিত সংবাদের রিপোর্টারকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৩
আল আমিন/সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর, এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।