ঢাকা: মিশরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের নিশ্চিয়তা দেবে।
এদিকে কায়রোয় সেনাসদস্যের সঙ্গে মুরসি সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। নামাজের পর দেশজুড়ে ‘প্রত্যাখানের শুক্রবার’ (ফ্রাইডে অব রিজেকশন) বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য সমর্থকদের মুসলিম ব্রাদারহুড ডাক দিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সীমান্ত ও গাজা উপত্যাকার নিকটবর্তী আল-আরিশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চৌকিতে এবং রাফাহর একটি থানায় হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিনাই উপদ্বীপের সেনা ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে রকেট ও মর্টার হামলায় একজন নিহত হয়েছে।
আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, কায়রোর দক্ষিণ-পশ্চিমে গিজায় অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের সঙ্গে সেনাসদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে আল-শারকিয়ার রাজধানী জাগাজিগে ২৫টি সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার মিশরের সাংবিধানি আদালতের প্রধান বিচারপতি আদলি মাহমুদ মনসুর অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন। তবে নির্দিষ্ঠ কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর মুরসিকে আটক রেখেছে সেনাবাহিনী। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
মুরসির কট্টর সমালোচক ও উদারপন্থি নেতা মোহাম্মদ এল-বারাদি জানিয়েছেন, মুরসিকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। তবে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য সেনাকর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেনাসমর্থকদের অভিযোগ, ব্রাদারহুডের ওইসব নেতাকর্মীর কাছে অস্ত্র রয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের এক নেতা স্বীকার করেছেন, তারা ভুল করেছেন। তবে মুরসিকে এভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। নির্বাচনে হলে তাতে মুসলিম ব্রাদারহুডের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি অংশ নেবে বলে জানান ওই নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com