ওয়াশিংটন: কৃষি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে বুধবার সম্মত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণ কমানোর কথা জোর দিয়ে বলেছে বেইজিং।
বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং চীনের মুদ্রাব্যবস্থার মূল্যমান বিষয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে দুদিনের বৈঠকে বসেন বৃহৎ অর্থনীতির দেশ দুটির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বাণিজ্য সচিব গ্যারি লুক বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং একইসঙ্গে আমরা চ্যানেল তৈরির চেষ্টা করছি যা আমাদের সম্পর্ককে জোরদার করবে। ’
চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াঙ্গ কিউসহান বলেন, ‘আমরা বহু বিষয়ে সম্মত হয়েছি এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফলও পেয়েছি। ’
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এর রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানায় চীন। এ বিষয়ে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী চেন ডেমিঙ্গ বলেন, ‘আমরা আমাদের আমদানি বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেওয়া বা সহজ করবে বলে আমরা আশা করছি। ’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনকে রপ্তানির সুযোগ দেয় এবং একইসঙ্গে চীনেও রপ্তানি বৃদ্ধি করে তাহলে এটা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ বেকারত্বের হার দূর করতে সাহায্য করবে। ’
দ্বিমুখী ব্যবহারযোগ্য পণ্যসামগ্রী অর্থাৎ সেনা ব্যবহায্য প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমাবদ্ধতা আছে। একইসঙ্গে চীন বিভিন্ন পণ্য জাল করে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকে আশঙ্কা করে আসছে।
তবে ইন্টালেকচুয়াল সম্পদ চুরির সমস্যা সমাধানের বিষয়ে চীন সম্মত হয়েছে বলে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রন কির্ক জানান।
এদিকে কৃষিমন্ত্রী টম ভিলস্যাক বলেন, ‘মার্কিন গরুর মাংসের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। ’ উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ম্যাড-কাউ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে চীনসহ অন্যান্য দেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়।
ভিলস্যাক বলেন, ‘২০১১ সালের প্রথমে চীনের বাজার পুনরায় চালু করার জন্য কৌশলগত আলোচনা শুরু হয়েছে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০