ইসলামাবাদ: চীন ও পাকিস্তান প্রায় দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যমানের বাণিজ্য চুক্তি করেছে। গত পাঁচ বছরে এই প্রথম ওয়েন জিয়াবাও-ই প্রথম চীনা প্রধানমন্ত্রী যিনি ইসলামাবাদ সফর করলেন।
আল কায়েদা ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মুখভাগেই রয়েছে পাকিস্তান। তবে চীনকেই পাকিস্তান সবচেয়ে বড় বিদেশি বন্ধু মনে করে। ওয়েন জিয়াবাও ও তার বিশাল ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বহরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানে তথ্যমন্ত্রী কমর জামান কয়রা জানান, দেশদুটি বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১৩ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে, জ্বালানি, রেল যোগাযোগ, পুনর্নির্মাণ (অবকাঠামো), কৃষি ও সংস্কৃতি ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি খাতে চীনের সহায়তা চুক্তিই সবচেয়ে বড় সাফল্য। চীনের সরকার নিশ্চিত করে বলেছে তারা পাকিস্তানে সব জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। ’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চীন ৩৬টি প্রকল্পে সহায়তা করবে, যা আগামী পাঁচ বছরে শেষ হবে। মূলত এটা পাঁচ বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা। ’
তিনি বলেন, ১৪ শ কোটি ডলার যৌথ অর্থনৈতিক সহায়তা গোষ্ঠী বিনিয়োগ করবে। পাঁচশ কোটি ডলার অন্য ব্যবসায়ীর চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া শনিবারের বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে এক হাজার কোটি ডলার চুক্তি সই করার কথা রয়েছে। ইসলামাবাদের একটি পাঁচতারা হোটেলে দেশ দুটির নেতারা এ চুক্তি করবেন।
কমর জামান কয়রা বলেন, ‘চীনের বিনিয়োগ সর্বোপরি তিন কোটি ডলার। ’ চুক্তিগুলো পাকিস্তানে মুমূর্ষপ্রায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি পিটিভিকে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের অভূতপূর্ব সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে পুরো জাতিই গর্বিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০