বেইজিং: সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বসিরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিরোধিতা করেনি এর বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীন। সম্প্রতি উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তারবার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীন দীর্ঘ দিন ধরে সুদানের কাছ থেকে তেল সুবিধা পেয়ে আসছে।
২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান আইনজীবী এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
আইসিসির আইনজীবী লুইস মোরিনো-ওকাম্পোর যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘বশিরের কি হলো তা চীনের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা তার গ্রেপ্তারের বিরোধীতা করবো না। তিনি বলেন চীনকে আমরা তেল সুবিধা দেওযার বিষয়ে নিশ্চিত করছি।
আইসিসি ২০০৯ সালে বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২০১০ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে দারফুর কর্তৃপক্ষ গণহত্যার অভিযোগ আনে।
২০০৩ সাল থেকে সুদানের গৃহযুদ্ধে তিন লাখ মানুষ নিহত এবং আরও ২৭ লাখ মানুষকে স্থানচ্যুত হয়েছে।
সুদানের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করায়, আন্তর্জাতিক মহলে চীনের ভূমিকার প্রশংসা এবং সমালোচনা দুই রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০