ঢাকা: ‘এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ লেখার সময় প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশ পদার্থবিদ প্রফেসর স্টিফেন হকিং। অসুস্থতা এতোটাই গুরুতর ছিল যে চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ কানে তোলেন নি তার স্ত্রী জেন হকিং। সুইজারল্যান্ডে জেন চিকিৎসকদের বলেছিলেন, স্টিফেনকে ক্যামব্রিজে ফিরিয়ে দিতে।
একটি প্রামাণ্যচিত্রে এসব তথ্য দিয়েছেন আইনস্টাইন খ্যাত স্টিফেন হকিং।
এ ব্রিটিশ পদার্থবিদ বলেছেন, ১৯৮৫ সালে বইটি লেখার সময় তিনি ভেবেছিলেন রোগের কারণে তাকে লেখায় ক্ষান্ত দিতে হবে।
সানডে টাইমসের মতে, লাইফ সাপোর্ট চিকিৎসা দেয়ার পরও মটর নিউরন ডিজিসে আক্রান্ত হকিং কথা বলতে পারতেন না কিন্তু ‘এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ লিখে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন।
‘হকিং’ নামের ওই প্রামাণ্যচিত্রে ৭১ বছর বয়সী হকিং বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন আমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। তাই তারা জেনকে লাইফ সাপোর্ট যন্ত্র খুলে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নিবিড় পরিচর্যার সপ্তাহগুলো আমার জীবনের অন্ধকারতম দিন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওষুধ ধীরে ধীরে কাজ করছিল যদিও অস্ত্রোপচারের কারণে গলায় ক্ষত হয়ে আমি কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরপর আমাকে কৃত্রিশ শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হয়। ’
অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ, দ্বিতীয় বিয়ে নানা বিষয় নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি এ বছরের শেষের দিকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির অজানা রহস্য সম্পর্কিত এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইমের এক কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত বইটি চার বছর লন্ডনের সানডে টাইমসের তালিকায় শীর্ষ বিক্রীত বইয়ের তালিকায় ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com