ঢাকা: লস্কর-ই-তৈয়বার বোমা বিশেষজ্ঞ আবদুল করিম টুন্ডা কেবল নিজেই জঙ্গি সদস্য নন, তার ৭ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছেলে আবদুল ওয়ারিস এং নাতি আফতাবও জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য!
সম্প্রতি গ্রেফতার হয়ে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন টুন্ডা নিজেই।
তার ২০ বছর বয়সী ছেলে ওয়ারিস ২০০০ সালে একটি চোরাচালানি বহরসহ কাশ্মীরে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন পরিচয়ে গ্রেফতার হওয়া ওয়ারিস যে টুন্ডার ছেলে ছিলেন এ কথাও কেউ জানত না।
জানা গেছে, টুন্ডার দুই ভাই আবদুল হক ও আবদুল মালিককেও সন্দেহভাজন মনে করা হয়। কারণ আবদুল হক একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টুন্ডা ও তার পরিবার লস্কর-ই-তৈয়বা, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, ওয়াদ্বা সিং অব বাব্বার খালসা ইন্টারন্যাশনাল ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন থেকে নিয়মতি অর্থ পান।
মূলত বোমাবাজ টুন্ডা আইএসআইয়ের ছত্রছায়ায় সম্প্রতি জাল মুদ্রা পাচারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদ সূত্র জানায়, কেবল টুন্ডা নিজেই নন, আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের জাল মুদ্রা পাচারের ব্যবসা পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতে জন্মগ্রহণকারী ইকবাল কানা।
এছাড়া, টুন্ডা জাল মুদ্রা পাচারে আইএসআই সদস্য মেজর তৈয়্যব ও মেজর আলতাফ নামের দু’জন ব্যক্তির কথা স্বীকার করেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
টুন্ডা আরও জানান, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীম বর্তমানে করাচির একটি নিরাপদ বাড়িতেই আইএসআইয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বসবাস করছেন।
উল্লেখ্য, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে টুন্ডার শ্বশুর বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা আবু তাহেরও বর্তমানে কলকাতার আলিপুর কারাগারে বন্দি। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিয়ালদা স্টেশন থেকে পুলিশের হাতে বেশ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্যসহ ধরা পড়েন আবু তাহের ওরফে মৌলভী জাকারিয়া৷
জানা যায়, এর আগের দফা আলিপুর কারাগারে বন্দি থাকাকালে তাহেরে সঙ্গে পরিচয় হয় টুন্ডার। সেই সূত্রে তাহেরের ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে বাংলাদেশসহ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য চালান ও জঙ্গি সদস্য সংগ্রহের কাজে শ্বশুর তাহেরকেই ব্যবহার করতেন টুন্ডা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে