ঢাকা: সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন দেশটির নাগরিকদের ওপর প্রশাসনের গোয়েন্দা নজরদারির তথ্য ফাঁস করে দিয়ে দুনিয়াজোড়া তোলপাড় তোলেন।
তবে স্নোডেন সম্প্রতি যে তথ্য ফাঁস করেছেন তার চেয়েও বেশি ও গভীরভাবে নাগরিকদের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের।
এমনকি তিন-চতুর্থাংশ অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকদের ৭৫ শতাংশ অনলাইন কার্যক্রম ও ফোনকলই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানায় জার্নালটি।
জার্নালটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ভূ-অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ কার্যক্রম নজরদারিতে যে প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়া হয় সেগুলো আসলে খোদ মার্কিন নাগরিকদের কার্যক্রম নজরদারিতেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে এনএসএকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ সিস্টেমের মতো (এটিঅ্যান্ডটি) সংস্থাগুলো। যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি এটিঅ্যান্ডটি।
অন্য দিকে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইন্টানেটের মাধ্যমে পাঠানো ই-মেইল ও ফোনকলের তথ্য সংগ্রহ করছে এনএসএ।
নিজ দেশের নাগরিকদের কার্যক্রমে গোয়েন্দা নজরদারির ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলছেন না এনএসএ’র সদস্যরা। তবে তারা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের প্রতিহত করতেই মিশন পরিচালনা করছে এনএসএ।
মার্কিন নাগরিকদের গোপনীয়তাকে এনএসএ সম্মান করে দাবি করে সংস্থাটির মুখপাত্র ভ্যানি ভিনস ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমোদনক্রমেই মিশন পরিচালনা করছে এনএসএ। ’
জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্র গোয়েন্দা নজরদারি (ফরেইন ইন্টিলিজেন্স সার্ভেইলেন্স কোর্ট) আদালতের অনুমোদনক্রমে ও পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হচ্ছে এনএসএ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৩
এইচএ/জেএম/এমজেডআর