ঢাকা: ভাই-বোন বাস করেন একই শহর বেঙ্গালোরে । সময়াভাবে দেখা সাক্ষাৎ হয় কদাচিৎ।
অবশেষে সোমবার দিদি শীলা রেড্ডির বেঙ্গালোরে ইন্দিরানগরের বাংলোয় এলেন। দেখাও হল। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এই অবস্থায় দিদির সঙ্গে দেখা হবে তাঁর। শীলদেবীর দেহের অর্ধেকটা এখন কঙ্কাল।
বাকি অর্ধেক অংশ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে মারা গিয়েছেন তিনি। বছর তিপান্নর শীলা রেড্ডি বিয়ে করেননি। একাই থাকতেন নিজের ইন্দিরানগরের বাড়িতে।
মাঝে মধ্যেই কাছের মানুষেরা শীলা দেবীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু শেষ পাঁচ মাস কেন কেউ দেখা করতে আসেননি, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় শঙ্কর রেড্ডি দিদির ইন্দিরানগরের বাড়ি আসেন। বেশ কয়েক বার কলিং বেল বাজানোর পর কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় মনে সন্দেহ হয়। দিদির কিছু হল না তো? জানলা দিয়েও হাঁক পাড়েন দিদির নাম ধরে। তাতেও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙতে হয়। ঘরে ঢুকেই দেখতে পান কঙ্কাল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগেই মারা গিয়েছেন শীলাদেবী। খাবার না পেয়েই তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। কারণ, দেখা যাচ্ছে বাড়িতে কোনও খাবার নেই।
পুলিশ প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। শীলাদেবীর এক প্রতিবেশী পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এম ডি সিংহ। তিনি খবরের কাগজে পড়ে জানতে পেরেছেন ঘটনাটা।
অন্য এক জন বলেছেন, “চার-পাঁচ মাস আগে ওঁর বাড়ির পাশ থেকে একটা বাজে গন্ধ পাচ্ছিলাম। তখন পুলিশকে ফোনও করি। পুলিশ বলেছিল, হয়তো কোনও কুকুর মরেছে। আমরা ভাবতেও পারিনি যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ”
শঙ্কর বলেন, “শারীরিক অসুস্থতাও ছিল কিছু। তবে না খেতে পেয়ে দিদির মৃত্যু হয়েছে জেনে খুব খারাপ লাগছে।
বাংলাদেশ সময় : ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৩
এসএস/বিএসকে