ঢাকা: ভারতের দিল্লির আলোচিত মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণের প্রথম মামলার রায় ৩১ আগস্ট হতে পারে। অভিযুক্ত ছয় জনের যার মামলা শিশু আদালতে চলে তার রায় হবে ওইদিন।
সর্বোচ্চ আদালতের রুলিংয়ের কারণে রায় দেয়ার ব্যাপারে শিশু আদালতের আর কোনো বাধা রইল না। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওই ধর্ষণের সময় অভিযুক্ত একজনের বয়স ১৭ বছর ছিল।
সর্বোচ্চ আদালতে বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়া স্বামীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল শিশু আদালত।
সুব্রামানিয়া স্বামীর বক্তব্য, নাবালক অপরাধীর শাস্তি নির্ধারণে মানসিক ও বুদ্ধিগত পরিপক্কতা বিবেচনায় নেয়া আবশ্যক।
এ নাবালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ৩ বছর তাকে শিশু সংশোধনাগারে থাকতে হবে।
অন্য অভিযুক্ত পাঁচ জনের একজন গত মার্চে হাজতে আত্মহত্যা করেন। অন্যান্য আসামিদের মামলা দিল্লির একটি বিশেষ দ্রুত আদালতে চলছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে শহর থেকে বাসা ফিরছিল ২৩ বছর বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রী ও তার বন্ধু। কোনো যানবাহন না পাওয়ায় তারা একটি প্রাইভেট গাড়িতে উঠেন। গাড়ীর চালক ও হেলপারসহ গাড়ীতে থাকা অন্য চারজন মেয়েটিকে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ ও তার বন্ধুকে বেদম মারপিঠ করে ফেলে দেয়। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে মেয়েটি ১১ দিন পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান।
দিল্লির এ ঘটনা ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। আন্দোলনের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধীসহ অনেকে অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে