ঢাকা: নিজেকে নারী হিসেবে দাবি করেছেন আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসকে গোপন তথ্য দেওয়ার অপরাধে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত ব্রাডলি ম্যানিং।
নিজের এক বিবৃতিতে তিনি এমন দাবি করেছেন।
বাকি জীবনটা চেলসি নাম নিয়েই কাটাতে চান তিনি। সবাইকে এ নামেই তাকে ডাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বলেছেন, আমার আবেদন যে আজকে থেকে আপনার আমাকে আমার নতুন নামে ডাকবেন এবং ফেমিনিন উচ্চারণ করবেন (কারাগারের সরকারি মেইল বাদে)। সমর্থকদের চিঠির পাওয়া ও জবাব দেয়ার অপেক্ষা রয়েছি। ’
বিবৃতি মতে, শৈশব থেকে মেয়েলি ভাবটি তার কাজ করে। নিজেকে পুরোপুরি নারী হিসেবে গড়ে তুলতে যত দ্রুত সম্ভব হরমোন থেরাপি নেবেন তিনি। এ জন্য সমর্থকদের সমর্থন চেয়েছেন মার্কিন সরকারের কাছে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে পরিচিত সাবেক এ সেনাসদস্য।
বিবৃতিতে সমর্থকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন ম্যানিং। তিনি বলেছেন, ‘যারা গত তিন বছর ধরে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই অগ্নিপরীক্ষায় আপনাদের সমর্থনযুক্ত চিঠিগুলো এবং উৎসাহ আমাকে শক্ত থাকতে উৎসাহ দিয়েছে। যারা আমাকে লিখেছেন, যারা আমার আত্মপক্ষ সমর্থন তহবিলে (ডিফেন্স ফান্ড) অনুদান দিয়েছেন তাদের কাছে আমি চিরতরের জন্য ঋণী। ’
২০০৭ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন ব্রাডলি ম্যানিং। ২০০৯ সালে বাগদাদে মার্কিন একটি সেনা ঘাঁটিতে দায়িত্ব পড়ে তার। মার্কিন গোপন নথিপত্র স্থানান্তরের দায়িত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তার। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্পর্শকাতর অসংখ্য গোপন নথিপত্র উইকিলসের হাতে তুলে দেন তিনি।
ম্যানিংয়ের প্রতারণার বিষয়টি আদ্রিয়ান লামো নামের এক কম্পিউটার হ্যাকার এফবিআইকে জানিয়ে দেয়। ২০১০ সালের মে মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিন বছর পর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত তাকে গুপ্তচরবৃত্তি ও ইউনিফর্ম কোড অব মিলিটারি জাস্টিস লঙ্ঘনসহ ২০ অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস