ঢাকা: ভারতের চলচ্চিত্রের শহর মুম্বাইয়ে এক নারী ফটো সাংবাদিক ধর্ষণের ঘটনা ফের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গণধর্ষণের এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবাল বলেছেন, এ ধরনের অপরাধে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় আরেক মন্ত্রী মিলিন্দ দেউড়া বলেন, আমি ওই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করি, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক যেহেতু মুম্বাইকে নিরাপদ শহর মনে করা হয়।
বিজেপির মুখপাত্র স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘এটি লজ্জার বিষয়। নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। আইন কী শুধু কাগজপত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে?’
বিজেপি নেতা রাজিব প্রতাপ রাডিও কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি ভয়ানক একটি ঘটনা। নারীদের জন্য সহায়ক শহর হিসেবে মুম্বাইয়ের সুনাম রয়েছে এবং আমি আশা করি অপরাধীরা শিগগির গ্রেফতার হবেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া উচিত সরকারের। মুম্বাইয়ে এ ধরনের অপরাধ ঘটলে, এটি সারা বিশ্বে ভুল বার্তা দেবে।
সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেশ আগারওয়াল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অন্যরা যেন এ ধরনের কাজ করতে পারে অভিযুক্তদের সেরকম শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
লোকসভার স্পিকার মিরা কুমার বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পার্লামেন্ট কঠোর আইন পাস করেছে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে এটি সহায়ক হবে।
কংগ্রেস নেতা প্রিয়া দত্ত মন্তব্য করেছেন, মুম্বাইয়ের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। ... শহরে অপরাধ বাড়ার কারণ যেমন বেকারত্ব ও মাদকাসক্ত ইত্যাদি উপলব্দি করতে বলেছেন তিনি।
এনসিডব্লিউর চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা ধর্ষণের ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, যখন আমি মুম্বাই যাই, লোকজন বলে যে সেখানে নারীরা নিরাপদ। এই ঘটনা শহরটিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অভিনেতা অনুপম খের টুইটারে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের চেয়ে নৈতিক দেউলিয়াত্ব খুবই খারাপ। আর আমরা দুটোর দিকেই হাঁটছি। # মুম্বাইধর্ষণ. লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।
সাবেক পুলিশ পুলিশ কর্মকর্তা কিরন বেদি লিখেছেন, আরেকটি লজ্জা। মুম্বাইয়ে ৫ জন কর্তৃক ধর্ষিত এক ফটো জার্নালিস্ট। বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, ভারত বিকাশমান ৩০টি দেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত।
মুম্বাইয়ের স্থানীয়রাও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের দক্ষিণে পারেল এলাকার জীর্ণকায় শক্তি মিলস ভবনের ওপর ফিচার প্রতিবেদনের ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে সেখানে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী এক নারী। তিনি একটি ইংরেজি সাময়িকীর ফটো সাংবাদিক। তার সঙ্গী এক পুরুষ সহকর্মীকেও মারপিঠ করেন ধর্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৩
এসএফআই/জিসিপি