ঢাকা: ভারতের মুম্বাইয়ে নারী ফটোসাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, অভিযুক্ত বাকি চারজনকেও শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার নিয়ে অস্পষ্ট ও বিভক্ত সংবাদ প্রচার করছে দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম ও বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলো।
শুক্রবার বিকেলের দিকে অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করার সংবাদ প্রকাশ করলেও সন্ধ্যা হতেই আগের তথ্য থেকে সরে আসে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য তিনজনকেও ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে।
অন্য দিকে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নারী সাংবাদিক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তি দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া, ওই ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে শিগগির বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওই নারী ফটোসাংবাদিকের আঁকা স্কেচ অনুসারে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পুলিশ আরও ২০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের নিম্নাঞ্চলীয় পারেল এলাকার শক্তি মিলসের কাছে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২৩ বছর বয়সী নারী সাংবাদিক ধর্ষণের শিকার হন। তার সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গীও ছিলেন। তবে ওই পুরুষ সঙ্গীর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে ধর্ষকরা।
একটি ইংরেজি সাময়িকীর ফটো সাংবাদিক ওই নারী। পুরোনো ভবন নিয়ে ফিচার প্রতিবেদনের ছবি সংগ্রহ করতে তিনি মুম্বাইয়ের পারেল এলাকায় গিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ওই তরুণী অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল।
ধর্ষণের শিকার ফটোসাংবাদিক জানান, জীর্ণকায় শক্তি মিলস চত্বরের একটি ভবনে দুইজন তাকে টেনে নিয়ে যায় এবং আরও তিনজনকে ভবনে ডেকে আনে। তারপর তার ওপর নির্যাতন চালায়, ধর্ষণ করে এবং তার পুরুষ সঙ্গীটিকে মারপিঠ করে।
তিনি আরও জানান, দুই ধর্ষণকারী একজন আরেকজনকে রুপেশ ও সাজিদ বলে ডেকেছিল।
পুলিশ বলেছে, যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তারা ওই এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরআর পাতিল হাসপাতালে ওই নারী সাংবাদিককে দেখতে গেছেন। তিনি দায়ীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি চলচ্চিত্রের রাজধানী খ্যাত মুম্বাইয়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় একে দিল্লির সঙ্গে তুলনা করছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৩/আপডেটেড: ১৯২৯ ঘণ্টা
এইচএ/এসআরএস