ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুই দশক ধরে গুহায় বাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৩
দুই দশক ধরে গুহায় বাস

ঢাকা: যেই ভাবনা সেই কাজ। ইচ্ছা ছিল শান্তিতে থাকার জন্য গুহায় বসবাস করার, করেছেনও তাই।

এই আধুনিক যুগেও একেবারে সমাজ থেকে আলাদা হয়ে দীর্ঘ বিশ বছর ধরে পাহাড়ের গুহায় বাস করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন চীনা নাগরিক ফেং মিংশান (৫৪)।

সমাজবদ্ধ হয়ে থাকতে অনিচ্ছুক মিংশান ১৯৯৩ সালে ঘড়ছাড়া হন। তারপর লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে পাহাড়ে বাস করা শুরু করেন। সমতল থেকে কয়েকশ মিটার উপরে উঠে গিয়ে প্রথম তিনি একটি ছোট্ট গুহা খুঁজে পান। তারপর ধীরে ধীরে হামার দিয়ে পাহাড়ে বড় ধরনের গর্ত করে সেখানে ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন দেন। সেই ঘরে দরজা ও পর্দাও দিয়েছেন মিংশান।

মিরর পত্রিকাকে মিংশান বলেন, যখন আমি গুহাটির সন্ধান পাই তখন এটি ছিল খুবই ছোট। হ্যামার দিয়ে আমি এটিকে বর্তমানের অবস্থানে নিয়ে এসেছি।

জীবনের প্রয়োজনে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে গুহায় যাওয়ার পথে একটি রাস্তাও তৈরি করে ফেলেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে এখানে খুব ঠান্ডা লাগে। তাই আমি এ স্থানটি খুব পছন্দ করি।

মিংশানের ভাই ফেং জুমিং বলেন, আমার ভাই একটু ভিন্ন ব্যক্তিত্বের। সে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না। নীরবে নিভৃতে থাকতেই পছন্দ তার।

পাহাড়ের আশেপাশের সমতলের বাসিন্দারা মিংশানের দুই দশক ধরে পাহাড়ে বাস করাকে ভালো চোখে দেখছেন না। তারা মনে করছেন মিংশানের মানসিক সমস্যা আছে।

এজন্য স্থানীয়রা তাকে নার্সিং হোমে দিতে চায়। ইতোমধ্যেই তাকে মনোবিজ্ঞানী মুখোমুখি করা হয়েছে।
শহরটির মেয়র ঝু মিন মিরর পত্রিকাকে বলেন, মিংশানকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৩
কেএইচ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।