ঢাকা: মুম্বাইয়ে নারী ফটোসাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনায় যখন ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে তখন দেশটির মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝাড়খণ্ড থেকে এক নারী পুলিশ সদস্যকে গণধর্ষণের খবর এল।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মাওবাদী জঙ্গিদের হামলায় নিহত ভগ্নিপতির মরদেহ নিয়ে তিন আত্মীয়ের সঙ্গে রাঁচি থেকে লাতেহারে ফেরার পথে রাস্তা অবরোধ করে ওই নারী পুলিশ সদস্যকে জোর করে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় তিন পাষণ্ড।
আত্মীয়দের ভাষ্যমতে, ডাকাত দলের সন্দেহভাজন সদস্যরা মরদেহবাহী গাড়িটি থামিয়ে ভাঙচুর ও গালিগালাজ করতে থাকে। তারপর ওই নারীকে ধরে নিয়ে গণধর্ষণ করে।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলে সে সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অন্য যানবাহনগুলো ফিরেও চায়নি বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
জানা যায়, রাঁচি থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে লাতেহার জেলার প্রশাসনিক দপ্তর থেকে মাত্র ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটছিল।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেবল একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই মুম্বাইয়ে একজন নারী ফটোসাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
অবশ্য, এ ঘটনায় ওই সাংবাদিকের আঁকা স্কেচ অনুসারে দু’জনকে আটক করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা ধর্ষণের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এছাড়া, এ দু’জনকে নিয়ে অপর তিন অভিযুক্তকে আটক করার জন্য জোরালো অভিযান চালানো হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীরা বলছেন, দিল্লির ‘ধর্ষণের রাজধানী’ তকমাটা এখন বৃহৎ পরিসরে ‘ধর্ষণের দেশ’ ভারতের গায়েই লাগতে পারে।
নারীদের চলাফেরার জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে ওঠা ভারতের এই অধপতনের জন্য প্রশাসনিক দুর্বলতাকে দুষছেন দেশটির রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে