ঢাকা: ভূ-মধ্য সাগরে সিরিয়া উপকূলের কাছে চতুর্থ ক্রুজ-মিসাইলবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনসহ শক্তি বৃদ্ধি করছে করছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পর দেশটিতে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বললেও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাক হেগেল জানিয়েছেন, ভূ-মধ্য সাগরে শক্তি বৃদ্ধি করছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্কিন নৌজাহাজ ‘ম্যাহান’ এ অঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধির কাজ সমাপ্ত করেছে এবং ভার্জিনিয়ায় প্রধান ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবে ইউরোপ ও ভূ-মধ্য সাগরীয় অঞ্চলের ইউনিট ইউএস সিক্সথ ফ্লিট’র কমান্ডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে যুদ্ধজাহাজটি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জোর দিয়ে দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো নির্দেশনামা পায়নি মার্কিন নৌবাহিনী।
এর আগে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের পর ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে’ এর জবাব দেওয়ার কথা বিবেচনা করছিলেন মার্কিন কর্তারা। এর মধ্যে ভূ-মধ্য সাগর থেকে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালানোর সম্ভাবনাও ছিল।
তবে জাতিসংঘের সঙ্গে আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়াও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ শিগগির তদন্তের আহবান জানানোয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে মার্কিন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সিরিয়ার বিদ্রোহীরা অভিযোগ করে, রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও ও আলোকচিত্রে সারি করে রাখা লাশের চিত্র রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয়াবহতার প্রমাণ দেয়।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্তের আহবান জানায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। সম্প্রতি জাতিসংঘের তদন্তের আহবানে সহযোগিতা করতে আসাদ সরকারের প্রতি আহবান জানায় সিরিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্রখ্যাত রাশিয়াও।
তবে আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে এ কাজটি বিদ্রোহীরাই করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৩
এইচএ/আরআইএস