ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

শেষ হলো বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত সম্মেলন

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:১০, আগস্ট ২৫, ২০১৩
শেষ হলো বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত সম্মেলন

আগরতলা (ত্রিপুরা): শেষ হল ৮২তম বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত সম্মেলন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে নভেম্বর মাস থেকেই কাজ শুরু করবেন দু’দেশের সার্ভে কর্মকর্তারা।



শনিবার যৌথ সীমান্ত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল ল্যান্ড রেকর্ডস অ্যান্ড সার্ভে বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ আব্দুল মান্নান।

ভারতের প্রতিনিধি এন আর বিসওয়াল জানান, সীমান্তের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় আগরতলার সার্কিট হাউসে শুরু হয় ৮২তম বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন। এ সম্মেলনে দু’দেশের ভূমিতথ্য ও জরিপ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যোগ দেন।

তিন দিনের সম্মেলন শেষে শনিবার বিকেলে সার্কিট হাউসে এক যৌথ সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টরি জেনারেল ল্যান্ডরেকর্ডস অ্যান্ড সার্ভে বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশের অধিকর্তা আনোয়ার হোসেন, উপ-অধিকর্তা এ বি এম ফজলুর রহমান, মিনিস্ট্রি অব ল্যান্ডের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কানিজ মৌলা, মহম্মদ খালিলুর রহমান ও মহম্মদ ফিরদৌস হুসেন।

ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এন আর বিসওয়াল, চন্দ্রকান্ত পন্থ, এম কে নাথ, মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, স্বপন দাস, অভিজিত দাস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, এবারের বৈঠকে মুহরিছড়া ও চন্দননগর নিয়ে বেশি আলোচনা করা হয়েছে। এ স্থানে ১৪০টি পিলার বসানো হবে। এজন্য আগামী নভেম্বর মাস থেকে দু’দেশের সার্ভে কর্মকর্তারা কাজ শুরু করবেন।

২০১৩-১৪ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমানার দক্ষিণ ত্রিপুরার খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও ফেনী নদী, গোমতী জেলার খাগড়াছড়ি, পশ্চিম ত্রিপুরার ব্রাক্ষণবাড়িয়া এলাকার পিলারের পুনর্নির্মাণ, পুনর্নির্ধারণ এবং পুনর্জরিপের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
এজন্য নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত দু’দেশের কর্মকর্তারা কাজ করবেন।

এসময়েই কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ আব্দুল মান্নান। মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের টানেই সীমান্ত সম্পর্কিত যে সব সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করা উচিত। আর সীমান্ত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দু’দেশই উদ্যোগী।
 
প্রতি বছরই আন্তঃরাষ্ট্রীয় যৌথ এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৮১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। পশ্চিমবঙ্গ সেক্টর নিয়ে আগামী সীমান্ত সম্মেলন কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার স্থলসীমান্তের দৈর্ঘ্য ৮’শ ৫৬ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক এ সীমান্তে বর্তমানে মোট পাঁচশটি পিলার রয়েছে। অনুষ্ঠিত যৌথ সীমানা সম্মেলনে এ পিলারগুলির অবস্থান, হারিয়ে যাওয়া পিলারের সঠিক স্থান নির্ধারণসহ নতুন পিলার বসানো নিয়ে আলোচনা হয়। সীমান্ত এলাকার যেখানে পিলার অনুপস্থিত সেখানে পুনর্জরিপের বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৩
কেএইচকিউ/এএ/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।