ঢাকা: প্রায় ৬০ ঘণ্টার অভিযান শেষে মুম্বাইয়ে নারী ফটোসাংবাদিককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার মুম্বাই পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই নারী সাংবাদিকের আঁকা স্কেচ অনুসারে প্রথমে একজনকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ক্রমান্বয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তরা ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের আত্মীয়রা বলছেন, ‘তারা দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত, আর নিরপরাধ হলে তাদের মুক্তি পেতে সবার সহযোগিতা করা উচিত। ’
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের নিম্নাঞ্চলীয় পারেল এলাকার শক্তি মিলসের কাছে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২৩ বছর বয়সী নারী সাংবাদিক ধর্ষণের শিকার হন। তার সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গীও ছিলেন। তবে ওই পুরুষ সঙ্গীর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে ধর্ষকরা।
একটি ইংরেজি সাময়িকীর ফটোসাংবাদিক ওই নারী। পুরোনো ভবন নিয়ে ফিচার প্রতিবেদনের ছবি সংগ্রহ করতে তিনি পারেল এলাকায় গিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
রাজপথের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীরা বলছেন, দিল্লির ‘ধর্ষণের রাজধানী’ তকমাটা এখন বৃহৎ পরিসরে ‘ধর্ষণের দেশ’ ভারতের গায়েই লাগতে পারে।
নারীদের চলাফেরার জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে ওঠা ভারতের এই অধপতনের জন্য প্রশাসনিক দুর্বলতাকে দুষছেন দেশটির রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে