ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৯, আগস্ট ২৫, ২০১৩
সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক অভিযানের হুমকির জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে সিরিয়ার সরকার বলেছে, এমন ধরনের কোনো হামলার চেষ্টা করা হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে।

রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ওমরান জাওয়াবি বলেন, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান কারও জন্য আনন্দদায়ক হবে না।



তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আগুনের ফুলকি হয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে জ্বালিয়ে দেবে।

অন্য দিকে সিরিয়া সরকারের মতোই মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান।

মার্কিন প্রশাসনের ঘোরবিরোধী ইরানের বিপ্লবী সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ মাসুদ জাজায়েরি এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন প্রশাসন খুব ভালো করেই জানে সিরিয়া ইস্যুতে সীমালঙ্ঘনের পরিণতি কী হবে। মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে হামলাকারীদের।

উল্লেখ্য, দামেস্কে সম্প্রতি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রায় এক হাজার লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রশাসনের ওপর আগাম চাপ দিয়ে আসছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। এ ঘটনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীকে সরাসরি দায়ী করছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

তবে নিরপেক্ষ তদন্তের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও রাশিয়া। ইতোমধ্যে সিরিয়ায় পৌঁছে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত শুরু করেছেন জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ শাখার প্রতিনিধিরা।

রোববার সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, এই অঞ্চলে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা। তবে কারা এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে এ ব্যাপারে এখন কোনো তথ্য পায়নি বিশ্ব সম্প্রদায়ের  প্রতিনিধিদল।

পেন্টাগন কর্মকর্তারা বলছেন, সেনাবাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেলে ভূ-মধ্য সাগর উপকূলে অবস্থানরত চতুর্থ ক্রুজ মিসাইলবাহী যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে সিরিয়ায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে মার্কিন প্রশাসন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে ইতোমধ্যে ভূ-মধ্য সাগরে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

অবশ্য, বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাতেই রাসায়নিক অস্ত্রের এজেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে দাবি করেছে আসাদ বাহিনী। তবে এর কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় সরকারের এ দাবি মিথ্যা বলেই দাবি করে আসছে বিদ্রোহীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৩
এইচএ/ এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।