ঢাকা: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক কারাগার থেকে মুক্তি পাবার তিনদিন পর রোববার আদালতে হাজির হয়েছেন।
২০১১ সালের আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে মোবারকের বিরুদ্ধে।
কায়রোর বাইরে পূর্বাঞ্চলীয় পুলিশ একাডেমির আদালতে কড়া নিরাপত্তায় উপস্থিত হন মোবারক। সাদা ট্যাকস্যুট ও কালো চশমা পড়ে হুইলচেয়ারে বসে আদালতে আসেন মোবারক।
বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়ে হ্যালিকপ্টার করে কারাগারের বাইরে যান হোসনি মোবারক। এখন তিনি গৃহবন্দী রয়েছেন।
শত শত বিক্ষোভকারী হত্যার ঘটনা দোষীসাব্যস্ত করে ২০১২ সালের জুনে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই মামলায় তার সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ছয় নিরাপত্তা প্রদানকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। অন্যদিকে দুর্নীতির মামলা থেকে মোবারকের দুই ছেলে আলা ও গামালকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মোবারকের উপস্থিতির আগে একই আদালত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মোহাম্মদ বদি ও তার দুই ডেপুটির বিচার মুলতবি করে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মোহাম্মদ বদি, খয়রাত আল-শাতের ও রাশেদ বায়ৌমিকে আদালতে হাজির না করায় আদালত তাদের বিচার স্থগিত রাখে বলে জানান আদালত।
২৯ অক্টোবর পুনরায় বিচার শুরু করতে তাদের উপস্থিত করাতে হবে রাষ্ট্রপক্ষকে।
ব্রাদারহুড নেতাদের বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন কায়রোয় ইসলামী আন্দোলনের সদর দফতর গুড়িয়ে দেয়া বিক্ষোভকারীদের হত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। হোসনি মোবারকের উত্তরসূরি হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণকারী মোহাম্মদ মুরসির পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল ওইসব বিক্ষোভকারী।
এর তিনদিন পর মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। সেদিন থেকেই আটক রয়েছেন মুরসি। তার বিরুদ্ধে মোবারকের পতনের আন্দোলনের সময় কারাগার থেকে পালানো এবং ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন মিশরের আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে