ঢাকা: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রায় তিনশ’ মানুষ নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ শাখার প্রতিনিধিরা।
গত বুধবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয় জাতিসংঘের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হয় প্রতিনিধি দলটি। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো সোমবার জানিয়েছে, রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠের ওইসব এলাকা পর্যবেক্ষণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিনিধি দলের রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষকরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো মনে করছে, সিরীয় সেনাবাহিনীই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে।
এক বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আসাদ সরকার যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে চূড়ান্ত সীমালঙ্ঘন করে তবে সামরিক পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় ভূ-মধ্য সাগরের সিরীয় উপকূলে চতুর্থ ক্রুজ মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে মার্কিন নৌবাহিনী।
রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট ফোনালাপ করে সিরীয় সরকার কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ‘কঠোর জবাব‘ দেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তবে মার্কিন ও ব্রিটিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের হুমকির পাল্টা জবাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন, সিরিয়াকে পশ্চিমাদের হাতের পুতুল বানানোর ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
অন্য দিকে সোমবার রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই লাভরভের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সিরিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না মস্কো।
এর আগে সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে বলে হুমকি দেয় ইরান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে