ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের কাছে শেখার আছে ভারতের

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৩
বাংলাদেশের কাছে শেখার আছে ভারতের

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্যে রেকর্ড পতন হয়েছে। অথচ নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় মুদ্রার এই টালমাটাল অবস্থার কোনো প্রভাব বাংলাদেশি টাকার ওপর না পড়ায় ঢাকার কাছে নয়াদিল্লির অনেক কিছুই শেখার আছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পোশাক খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রশংসা করা হয়েছে। বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রপ্তানিখাতকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়েছেন।

সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক রপ্তানির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশি মুদ্রায় এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি। এ ক্ষেত্রে ঢাকার নীতি-নির্ধারকরা ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

এক বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশ পতন হয় রুপির আর ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পতন হয় ৪ শতাংশ। সেখানে এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশি টাকার মান বেড়েছে  ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১২ সালের আগস্টে এক ডলারের বিপরীতে যেখানে ছিল ৮১ দশমিক ৩৮ টাকা সেখানে এ বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৭৫ টাকায়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার হার ঈর্ষণীয় ৪৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদের সিদ্ধান্ত সফল। অভিবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশটির আমদানি বিল পরিশোধের পাশাপাশি ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে উদ্ধৃত্ত উপহার দিয়েছেন দুইশ’ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক সামগ্রী হলেও অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে রপ্তানি খাতে গত বছর দুই হাজার সাতশ’ কোটি ডলার উপার্জন করেছে বাংলাদেশ। যেটা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জাতীয় ইচ্ছা এবং শ্রমই ভারত এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে সহযোগিতা করেছে এবং বিশ্ববাজারে পোশাক ব্যবসায় সাফল্য দেখিয়ে চলেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে পোশাকবাহী ট্রাকগুলোকে ভিআইপি যানের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসব রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে রাস্তা সবসময় খালি রাখে। কাস্টম কর্মকর্তারাও এসব ব্যাপারে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করেন না।

এছাড়া ঢাকার বাজারে শ্রম অনেক সস্তা বলে ব্যবসায়ীরা উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন- যে কারণে তাদের রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

পোশাক রপ্তানি খাতে ভারতের নীতি-পরিকল্পনা সন্তোষজনক নয়। পোশাক ও স্বর্ণালংকার রপ্তানি আগের তুলনায় কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রুপির পতনের কারণ বাণিজ্যিক খাতে ও মূলধনী খাতে ডলারের দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এ কারণেই ডলারের ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৩
এইচএ/ এসএস/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।