আগরতলা (ত্রিপুরা): সিপিএম এবং কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আগরতলা সফরে এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক এবং দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পর্যবেক্ষক সব্যসাচী দত্ত।
তিনি বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ত্রিপুরার মানুষ সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিকল্প খুঁজছে। তারা এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চান।
সব্যসাচী দত্ত কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা এলাকার বিধায়ক।
তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর রোববার আগরতলা সফর করেন সব্যসাচী দত্ত। রাজ্য সফরে এসে তিনি বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুরজিত দত্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী। এছাড়া কংগ্রেস ও সিপিএমের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং শীর্ষ নেতার সঙ্গেও দেখা করেছেন বলে জানা গেছে।
কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিক্ষুব্ধ নেতাদের কাছে টানতেও এ সফর হতে পারে বলে জানা গেছে। যদিও সব্যসাচী তা সরাসরি স্বীকার করেন নি।
তিনি জানান, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি ঠিক করতেই তার এই সফর।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে প্রার্থী না দেওয়া প্রসঙ্গে সব্যসাচী জানান, বিরোধীদের ভোট ভাগের কারণেই সিপিএম ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে এই অপবাদ তাদের দল নিতে চায় নি। দলনেতা মমতা ব্যানার্জি চেয়েছিলেন বাম বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়। তার জন্যই কোনো আসনে সেবার প্রার্থী দেওয়া হয় নি। তিনি অভিযোগ করেন দিল্লির কংগ্রেস চায় না এখানে একটি বাম বিরোধী শক্তি গড়ে উঠুক।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ সিপিএমের হাত থেকে বাঁচতে চাইছে। সিপিএমের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজ্যে গরীব মানুষের সংখ্যা বেশি। তারা বিকল্প হিসেবে মমতা ব্যানারজীকে চাইছে।
ত্রিপুরাতে বহু দিন ধরে খাতা খোলার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থিদের হটাতে সমর্থ হলেও ত্রিপুরাতে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারে নি তৃণমূল কংগ্রেস। সব্যসাচী দত্তের এই সফর তৃনমূলকে এ রাজ্যে কতটা শক্ত জমি দেয় তার দিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১৩
টিসি/এসএটি, এসএস/এডিবি/