ঢাকা: গত ২৩ জানুয়ারি বাংলানিউজে ‘ভারতে ধনী আরবদের জমজমাট ‘সেক্স অ্যাডভেঞ্চার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে উপমহাদেশে বিশেষ করে ভারত ভ্রমণে আসা আরবের ধনী পর্যটকদের কথিত বিয়ের আড়ালে নারীদেহ ব্যবসার লোমহর্ষক চিত্র ফুটে ওঠে।
ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় এক কিশোরীকে জবরদস্তি করে বিয়ে করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, অনাথাশ্রমের ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে জবরদস্তি করে বিয়ে করার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বে কালিকটে অবস্থিত রাজ্যের সমাজ কল্যাণ বিভাগের কার্যালয় অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
ওই কিশোরী জানান, অনাথাশ্রমের কর্তৃপক্ষের চাপে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন। ছাত্রসংগঠনগুলো এ জন্য অনাশ্রমটির নিবন্ধন বাতিল করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।
তবে কিশোরীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে অনাথাশ্রম কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত জুনে অনাথাশ্রমে তাকে বিয়ে করেন পরিচয় লুকানো জনৈক আরব পর্যটক এবং বিভিন্ন অভিজাত হোটেল-রিসোর্টে নিয়ে কিশোরীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান।
তবে বিতর্কিত বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে কয়েক সপ্তাহ পরেই ভারত থেকে সটকে পড়েন অ্যাডভেঞ্চারে আসা পর্যটকটি এবং তা কিশোরীরও অজান্তে।
এই ঘটনায় পুলিশ ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরকে জরুরিভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা বাল্য বিবাহ আইন-২০০৬ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশু ও কিশোর সুরক্ষা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বিক্ষোভকারীরা আরব পর্যটকদের এ ধরনের বিয়ে-ভণ্ডামি বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে