ঢাকা: নাসার একটি টেলিস্কোপ মহাশূন্যে এর দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশ করলো মহাবিশ্বের আশ্চর্যজনক মুহূর্তের কিছু ছবি যা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি, এমনকি ধারণ করাও হয়নি।
নাসার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম স্পিৎজার টেলিস্কোপ ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রথম উম্মোচন করা হয়।
গত এক দশকে এই টেলিস্কোপ ধূমকেতু ও গ্রহাণুপুঞ্জের উপর বিশেষ পর্যবেক্ষণ করেছে। এটা ফুটবলের মতো আকারের কার্বন গোলকের সন্ধান পেয়েছে। এটাই প্রথম আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে থেকে আসা রশ্মির সন্ধান পেয়েছে। শনি গ্রহের অনেকগুলো বলয়ের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বড় বলয়টিকে খুঁজে বের করেছে স্পিৎজার।
নাসা জানিয়েছে, স্পিৎজার এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আরও অনেক কিছু আবিষ্কারের জন্য আগামী এক দশক পর্যবেক্ষণ করবে।
বাংলানিউজ পাঠকদের জন্য স্পিৎজার টেলিস্কোপে ধারণ করা মহাবিশ্বের বিস্ময়কর এমন কিছু ছবি তুলে দেওয়া হল।
হেলিক্স নীহারিকা
এ নীহারিকা দেখতে অনেটা বিখ্যাত উপন্যাস লর্ড অব দ্য রিংসের সরনের চোখের মত। এ নীহারিকা সৃষ্টি করা মৃত তারার বহিঃস্তরের ছবি তুলেছে স্পিৎজার।
তারকা বিরচণ অঞ্চল ডব্লিউ ৫
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘সৃষ্টির পর্বতমালা’। অনেকটা হাবলের ‘সৃষ্টির স্তম্ভের’ মতো। কিন্তু এটা এর চেয়েও অনেক বড়।
জেটা অফিউচাস
এ নক্ষত্রটির নাম জেটা অফিউচাস। এটা অতি পারমাণবিক কণার বায়ু বিস্ফোরণের মাধ্যমে পরিচিত।
ইটা কারিনে
এ উজ্জ্বল তারার কেন্দ্র থেকে নির্গত শক্তি এর চারপাশের নক্ষত্রগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।
সোর্ড অব অরিয়ন (কালপুরুষের তলোয়ার)
এই কালপুরুষ নক্ষত্র পৃথিবীকে থেকে ১৪’শ ৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৩
কেএইচকিউ/আরকে