ঢাকা: রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ‘চূড়ান্ত এবং সম্পূর্ণরূপে’ প্রত্যখ্যান করেছে সিরিয়ার সরকার।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীকে দায়ী করলে মঙ্গলবার বিকেলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
কেরির অভিযোগ অনুযায়ী, দামেস্কের উপকণ্ঠে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার দ্বিতীয় এলাকাটিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের যেতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে মুয়াল্লেম বলেন, বিদ্রোহীরা পর্যবেক্ষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গত সপ্তাহে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কথা বিবেচনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুয়াল্লেম বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যদি সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সামরিক অভিযান চালানো হয় তবে সেটা একেবারেই ভুল, ভিত্তিহীন এবং অহেতুক হবে।
তিনি বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলছেন সিরিয়ার সেনাবাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমি কেরির (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ অভিযোগ চূড়ান্ত এবং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, নিজের দেশের জনগণকেই ধ্বংস করে এমন অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন দেশ এই বিশ্বে নেই।
এছাড়া, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা তদন্তের জন্য আসা জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতায় সরকার কাজ করছে বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াল্লেম।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের গাড়িবহরে অজ্ঞাত স্নাইপারদের গুলি ছোঁড়ার ঘটনার পর সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকেই দায়ী করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
কেরি তার বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ যাতে তদন্ত করতে না পারে সেজন্য গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে তাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছে আসাদবাহিনী।
যদিও ওই হামলাকারীরা বিদ্রোহী দলের সদস্য বলে দাবি করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৩
এইচএ/আরকে