ঢাকা: ইরাকের ধারাবাহিক বোমা হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ।
বুধবার দিনব্যাপি দেশটির রাজধানী বাগদাদ ও তার আশেপাশে ধারাবাহিকভাবে বোমা হামলা করা হয়।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানী বাগদাদ ও তার বাইরে কয়েকটি ধারাবাহিক গাড়ি ও আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। আলদাভাবে কমপক্ষে দশটি জায়গায় বোমা হামলা করা হয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বাগদাদের পাশে জিসর আল দিয়ালায় বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২১ জন।
বাগদাদের পাশে কাধিমিয়াহ ও শাদর শহরেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে।
শাবের অধিবাসী ১৮ বছর বয়সী মারওয়া বলেছেন, ‘আমরা গরীব। আমাদের যা কিছু ছিল সব পুড়ে গেছে। আমাদের বাড়ি মাটির সাথে মিশে গেছে। ’ শাবে বোমা হামলায় চারজন নিহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সারাক্ষণ পদের জন্যই মারামারি করছেন। তারা আমাদের দিকে তাকান না। এখানের মানুষ গৃহহারা হয়ে পড়েছে। ’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, কে এর ক্ষতিপূরণ দিবে?
আশঙ্কা করা হচ্ছে ইরাকজুড়ে এই সাম্প্রতিক সহিংসতা দেশটিতে আবারও জাতিগত সংঘাতকে ফিরিয়ে আনবে। ২০০৬-০৭ সালে দেশটিতে জাতিগত সংঘাতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোন দলই এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, আল-কায়েদার সুন্নি বিদ্রোহীরা এ হামলা করতে পারে। কেননা এর আগেও তারা শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গি দমনে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে তারা কয়েক হাজার অভিযুক্ত জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। এ সময় অনেকে নিহতও হয়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকি এর আগে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে জঙ্গি বিরোধী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এর আগে মালিকিকে আরব বিশ্বের সুন্নি সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে নজর দেওয়া উচিত। আরব বিশ্বে সুন্নি সম্প্রদায় শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা খারাপ ব্যবহারই পেয়ে আসছে।
ইরাকে এর আগে এ মাসের ৬ তারিখে কমপক্ষে আটটি গাড়ি বোমা হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছিল। বাগদাদে ১০ তারিখে আরেকটি বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছিল ৪৭ জন।
তার পাঁচ দিন পর ৯টি বোমা বিস্ফোরণে বাগদাদে ২৪ জন নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৩
কেএইচকিউ/আরআইএস