ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এশিয়ার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংকোচন করলো এডিবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৩
এশিয়ার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংকোচন করলো এডিবি

ঢাকা: দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন ও ভারতে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রির্জাভের উদ্দীপনা প্যাকেজের অনিশ্চয়তার কারণে চলতি বছর এশিয়ার প্রবৃদ্ধির পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরে এই অঞ্চলের জন্য এডিবি যে জিডিপি নির্ধারণ করেছিল তা কমে ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

এর আগে এডিবি এই অঞ্চলের জন্য জিডিপি নির্ধারণ করেছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। যা ২০১২ সালে ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি যে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ (৬.৬) করেছিল তা সংকোচন করে ৬ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

এ বিষয়ে এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি ও উৎপাদন কমে যাওয়া এবং ভারতের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি ও সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কমে যাওয়ার ফলে নতুন করে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করতে হয়েছে।

এডিবি ২০১৩ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। যা পূর্বে নির্ধারণ করা হয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ। চীনে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে স্থানীয় বাজারে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া ও বৈদেশিক বাণিজ্যে নিম্নমুখী প্রবণতাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ চংগিয়ং রি এক বিবৃতিতে বলেন, চীনের প্রবৃদ্ধি অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে জোর দেওয়া জরুরি। যা চীনের রপ্তানি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।

তিনি আরও বলেন, চীনের এই নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে প্রভাব ফেলবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এর আগে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল এশিয়ার অন্য দেশেও প্রভাব ফেলেছিল।

আগামী ২০১৪ সাল নাগাদ এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে চলতি বছরে ভারতে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও তা কমিয়ে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়।

এ বিষয়ে এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত মাসে ডলারের বিপরীতে রুপির রের্কড পতনের পাশাপাশি অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে শিল্প ও বিনিয়োগে বিরূপ প্রভাব।

এডিবি চলতি বছরে পূর্ব এশিয়ার জন্য (হংকং ও তাইওয়ান অর্ন্তভুক্ত) নতুন করে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করেছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তিন অর্থনৈতিক শক্তি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য ঘাটতির কারণে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আক্টোবর ০২, ২০১৩
জেডএস/এইচএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।