ঢাকা: জলজ্যান্ত একজন মানুষকে ‘আইনত মৃত’ হয়েই শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের বাসিন্দা ডোনাল্ড মিলার গত তিন দশক ধরে নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ঘরে ফিরে আসেন।
তার আগেকার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি তিনি এর জন্য ফের আবেদন করেন। কিন্তু মিলার নিজেই ‘মৃত’ হওয়ায় তাকে লাইসেন্স দিতে অপারগতা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু আদালতও তাকে আর ‘জীবিত ঘোষণা’ করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে ওহিওর হ্যাঙ্কক কাউন্টির প্রবাট কোর্টের বিচারক অ্যালান ডেভিস রুল জারি করে বলেন, তাকে এখন আর ‘জীবিত’ ঘোষণা করা যায় না! কারণ তিনি প্রায় একযুগ আগে আইনত মৃত ঘোষিত হয়েছিলেন!
জানা যায়, চাকরি হারানোর পর হতাশ হয়ে ১৯৮৬ সালে স্ত্রী রবিন ও দুই শিশু সন্তানকে রেখে পালিয়ে যান মিলার। তারপর প্রায় ২৭ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকায় ১৯৯৪ সালে তাকে ‘আইনত মৃত’ ঘোষণা করা হয়।
মিলার ‘মৃত’ ঘোষিত হওয়ার পর রাষ্ট্র ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে শিশু সন্তানদের লালন পালন বাবদ অার্থিক সহায়তাও গ্রহণ করেন তার ‘বিধবা’ স্ত্রী রবিন।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, পরিবহন কর্তৃপক্ষের ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিলারের আবেদনের পর বিচারপতি অ্যালান ডেভিস বলেন, কাউকে ‘আইনত মৃত’ ঘোষণার তিন বছর পার হয়ে গেলে, সে ঘোষণা আর উঠিয়ে নেওয়া যায় না।
বিচারপতি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর, বিস্ময়কর পরিস্থিতি!’
রাষ্ট্রের আইন অনুসারে মিলারকে ফের জীবিত ঘোষণা করতে অপারগতা প্রকাশ করে ডেভিস বলেন, আমরা কী দেখছি! একজন মানুষ সুস্থভাবে আদালত কক্ষে বসে আছেন। অথচ তিনি আইনত মৃত।
তবে এই রুলিংয়ের বিরুদ্ধে মিলার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এইচএ/আরকে