ঢাকা: চেচনিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন, সামান্য সীমানা বিরোধ নিয়ে জর্জিয়ার ওপর পূর্ণ মাত্রায় সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার এবং লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট মোয়াম্মার গাদ্দাফি যখন তার জনগণকে হত্যা করছিলেন তখন ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিমান হামলার বিরোধিতা ও জাতিসংঘে অভিযোগের ‘কৃতিত্ব’ তার। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যখন তার নিজ জনগণকে হত্যা করছেন তখনও তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে চলেছেন তিনি।
এতো ‘কৃতিত্বের’ দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির একটি সংগঠন।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব স্পিরিচুয়াল ইউনিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন অব পিপলস অব দ্য ওয়ার্ল্ড নামক সংগঠনটি মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আহ্বানের পক্ষে যুক্তিও উপস্থাপন করে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পুতিনের কূটনৈতিক প্রস্তাবেই মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পশ্চিমা বিধ্বংসী হামলা ঠেকানো গেছে।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, এখনও ড্রোন হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোক হত্যা করে এবং কোনো রাষ্ট্র বা অঞ্চলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েও যদি ওবামা ২০০৯ সালে আগাম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন, তাহলে পুতিন কেন এ পুরস্কার পাবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পার্লামেন্টের সদস্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইয়োসিফ কোভজন বলেন, ইরাক, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য অঞ্চলে সামরিক হামলার অনুমোদন দিয়ে, সিরিয়ায় আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েও যদি ওবামার নামের পাশে ‘শান্তিতে নোবেলজয়ী’ খেতাব থাকে, তাহলে সিরিয়ায় ভয়াবহ রক্তপাতের পথ থেকে বিশ্বকে সরিয়ে আনতে যিনি কূটনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন সেই পুতিন কেন নোবেল পাবেন না।
ইতোমধ্যে পুতিনকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভোট আহ্বানও করেছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৩
এইচএ/এসআরএস