ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ কমেছে। সংখ্যায় খুব বড় না হলেও একে অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে।
এফএও’র বিশ্বে খাদ্য অনিরাপত্তার চিত্র (স্টেট অব ফুড ইসিকিউরিটি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড-২০১৩) বিষয়ক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বর্তমানে বিশ্বে ক্ষুর্ধাতের সংখ্যা চরম ক্ষুধার্তের সংখ্যা ৮৪ কোটি ২০ লাখ। ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮৬ কোটি ৮০ লাখ।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে খানিকটা হলেও এ সফলতা এসেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি খাদ্য প্রাপ্ততা সহজ হয়েছে।
কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ ও কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে ওইসব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে।
এফএও’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য কমাতে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ক্ষুধার্তদের অধিকাংশেরই বাস উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। উন্নত বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
তবে ক্ষুধা হ্রাসের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলো কেউ এগিয়ে, কেউবা পিছিয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাব-সাহারা আফ্রিকা ক্ষুধা হ্রাসে কিছুটা এগিয়েছে। ওই অঞ্চলে পুষ্টিহীনতার মাত্রা সবচেয়ে বেশি। আফ্রিকা মহাদেশের ওই অঞ্চলের প্রতি চারজনে একজন ক্ষুধার্ত যা শতাংশে মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
পশ্চিম এশিয়ায় কোনো অগ্রগতি হয়নি তবে দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকাতে ‘ধীর অগ্রগতি’ হয়েছে। পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ক্ষুধা হ্রাস ও পুষ্টিহীনতা রোধে ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস