ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফুটবলারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে হাসপাতালে রেফারি

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): মাঠের খেলার শেষে অন্য খেলা দেখল ত্রিপুরার উমাকান্ত ময়দানে আসা ফুটবল প্রেমী দর্শকরা। গুণ্ডামি কাকে বলে তাই করে দেখাল পুলিশের ফুটবলাররা।

খেলা শেষে সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের ফুটবলাররা আক্রমণ চালালো রেফারির ওপর। তাদের সঙ্গে হাত লাগালেন কোচ-ম্যানেজারও। মারাত্মক আহত হয়ে রেফারি জয়ন্ত রায় হাসপাতালে ভর্তি।

মাঠে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি থেকে শুরু করে এসপি এবং অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু কেউ এই গুণ্ডামি রোধে এগিয়ে এলেন না। সব দেখে একটাই শব্দ ফুটবল প্রেমীদের-ছি!

বৃহস্পতিবার ছিল সিনিয়র ডিভিশন ফুটবলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। মুখোমুখি হয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ এবং লালবাহাদুর ক্লাব। এদিন ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হতো ত্রিপুরা পুলিশ। আর অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে লালবাহাদুরকে জিততেই হতো।

বৃষ্টি ভেজা মাঠে ম্যাচ হয় হাড্ডাহাড্ডি। চরম উত্তেজনার ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতে যায় লালবাহাদুর। আর ম্যাচ শেষ হতেই তাণ্ডব শুরু করে পুলিশের ফুটবলাররা।

তারা সংঘবদ্ধভাবে রেফারি জয়ন্ত রায়ের ওপর হামলা চালায়। প্রথম আক্রমণ শুরু করে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা। রেফারিকে মাঠে ফেলে চলে বেদম প্রহার। কিল, ঘুশি, লাথি কোনো কিছুই বাদ যায় নি। এমনকি ম্যানেজার ও কোচ দাঁড়িয়ে থেকে নীরব দর্শক হয়ে উপভোগ করেছে শিষ্যদের অন্যরকম খেলা।

মাঠে ছিলেন পুলিশের আইজি বি কে রায়। তিনিও এগিয়ে যান নি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটতে দিতে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশও নামেনি হামলা রুখতে।

পুলিশকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ত্রিপুরার সিনিয়র ডিভিশন ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল লালবাহাদুর ক্লাব। এ টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৩
এসএফআই/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।