ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন মালালা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৩
শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন মালালা

ঢাকা: এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাই। মালালার সঙ্গে নোবেল জয়ে এ বছরের দৌঁড়ে ট্র্যাকে রয়েছেন কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে, রাশিয়া বা বেলারুস থেকে মানবাধিকারকর্মীরা।

পাকিস্তান ও ভারতের দুটি সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে ৬টি শাখায় পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। স্টকহোমে সোমবার গ্রিনিচমান সময় সাড়ে ৯টায় চিকিৎসায় নোবেলজয়ী বা নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করবেন জুরি বোর্ড।

তবে প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তি ও সাহিত্যে নোবেল কে পাচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এবার শান্তিতে নোবেলের জন্য রেকর্ড সংখ্যক ২৫৯ জন মনোনয়ন পেয়েছেন। ১১ অক্টোবর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির ঘোষণায়।

শান্তি পুরস্কার বিষয়ক নোবেল কমিটির তালিকা থেকে নিজে একটি ছোট তালিকা প্রস্তুত করেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্রিস্টিয়ান বের্গ হার্পভিকেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এমনটি করে আসছেন। তার এবারের ছোট তালিকার শীর্ষ রয়েছে মালালা ইউসুফজাই।

হার্পভিকেন বলেছেন, সে (মালালা) শুধু মেয়েদের এবং শিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তার অধিকারের প্রতীক হয়ে উঠেনি, চরমপন্থা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়েও উঠেছেন।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মেয়ে মালালা ইউসুফজাই নিজ এলাকায় মেয়েদের শিক্ষা ও অধিকারের কথা বলতে গিয়ে তালেবান জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে স্কুলবাসে উঠে তার ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। পাকিস্তানের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। এখন যুক্তরাজ্যের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।

তবে অনেকে বলছেন, মাত্র ১৬ বছরের একটি মেয়েকে শান্তিতে নোবেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার দেওয়াটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।

স্টকহোমের শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট এসআইপিআরআইয়ের প্রধান টিলমান ব্রুয়েক বলেছেন, নৈতিক দিক থেকে আমি নিশ্চিত না যে, একটি মেয়েকে শান্তি পুরস্কার দেওয়াটা উপযুক্ত হবে।

তার মতে, কলোম্বিয়ার শান্তি মধ্যস্থতাকারীরা বা মিয়ানমারের সংস্কারবাদীরা পেতে পারেন শান্তিতে নোবেল।

শান্তিতে নোবেল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ আসলে সিভেন বলেছেন, কমিটির পাঁচ সদস্য কঙ্গোর গাইনিলোলজিস্ট মুখওয়েগেকে নির্বাচিত করতে পারেন।

স্থানীয় ও বিদেশি জঙ্গি এমনকি সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হাজার হাজার নারীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও  সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৩
এসএফআই/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।