ঢাকা: ইরানের সঙ্গে কয়েকশ’ কোটি ডলারের গ্যাস পাইপলাইন সংক্রান্ত চুক্তির দিকে এগিয়ে গেলে পাকিস্তানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের শুনানির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
কংগ্রেসের শুনানিতে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যান জানান, এ ব্যাপারে (ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি) পাক সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পাকিস্তান খুব শিগগির কোনো চুক্তিতে যাচ্ছে না বলেও নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেন শেরম্যান।
সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেন্ডেজের এক প্রশ্নের জবাবে শেরম্যান বলেন, তারা (পাকিস্তান) অবশ্যই বুঝতে পেরেছে যদি এমন কোনো পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যায়, তবে আমাদের হাতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ রয়েছে।
শেরম্যান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেবল পাকিস্তানের ব্যাপারেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞা যারা লঙ্ঘন করবে, তাদের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে পাইপলাইন চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেন্ডেজ বলেন, পাকিস্তান যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সেটা ইরান সরকারের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৩
এইচএ/আরআইএস