ঢাকা: ভারতে এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোটের সময়। আর ভোটের আসন্ন এই সময়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করে অর্ডিন্যান্স জাতীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে যাবে না দেশটির বর্তমান সরকার।
ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধী বৃহস্পতিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বর্তমান সরকার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায়কে নিস্ক্রিয় করতে তড়িঘড়ি করে এক অর্ডিন্যান্স আনতে চেয়েছিল। এটা নিয়েই অসন্তুষ্ট হন রাষ্ট্রপতি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার অর্ডিন্যান্স এবং বিল, দুটোকেই প্রত্যাহার করে নেয় মনমোহন সরকার।
প্রতিভা পাতিলের মতো রাষ্ট্রপতি হতে চান না প্রণব। প্রশ্ন না তুলে কোন কিছুতে মত দিতেও রাজি নন প্রণব। আবার তিনি সরকারের সাথে বিরোধেও রাজি নন। নৈতিক কারণে সংসদ এড়িয়ে এ অর্ডিন্যান্স জারি না করার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির আপত্তির কথা জানতে পেরে কপিল সিব্বল ও সুশীলকুমার শিন্দেকে তার সঙ্গে আলোচনা করতে পাঠান সোনিয়া ও মনমোহন। প্রণব অর্ডিন্যান্সে সই করার ব্যাপারে তার অমতের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।
সরকারের সঙ্গে অমতের কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হোক এমনটাও চাননি প্রণব। সরকারের অর্ডিন্যান্স একাধিকবার ফেরত পাঠিয়ে ছিলেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সরকারের সাথে তার বিরোধিতা ও স্বাধীনচেতার খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি সরকারকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকারের বিরোধ চলছে এমন কোন বার্তা দিতে চাননি তিনি। না হলে সরকারের অস্বস্তি আরও বেশি হত।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি কখনোই বিক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিপন্ন হতে চান না। বরং কোনও বিল পাঠানোর আগে সরকার যদি তার সঙ্গে আলোচনা করে নেয়, তা হলে কোনও ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকে না।
সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে কোনও নোট বা অর্ডিন্যান্স পাঠানোর আগে তার সঙ্গে সরকারের আলোচনা করে নেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী আলোচনার মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৩
কেএইচকিউ/আরআইএস