ঢাকা: ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের আঘাত থেকে বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভারতের উড়িষ্যার উপকূলীয় জেলাগুলোর মানুষদের। হতাহতের সংখ্যা ‘শূন্য’ রাখতে পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে স্থানীয়দের সরিয়ে নিচ্ছে উড়িষ্যা সরকার।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে অন্ধ্রপ্রদেশে ও উড়িষ্যার ওপর দিয়ে ২৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে পাইলিন।
গঞ্জম, গজপতি, পুরি, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপুরা, নয়াগঢ় ও কুদ্রার মতো জেলাগুলোর প্রশাসকদের দ্রুত জনগণ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এস এন পাত্রো বলেছেন, আজ (শুক্রবার) বিকেলে মধ্যে সাইক্লোন ও খাদ্য আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্য নিরাপদ লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করার নির্দেশ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভাদরাক ও বালাসর জেলার প্রশাসকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
১৯৯৯ সালের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে হতাহত শূন্যে রাখা।
পাত্র বলেছেন, জেলা কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ সামগ্রী ও জরুরি যানবাহনসহ উদ্ধার দল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলাগুলোতে ডিজেল, কেরোসিন, এলপি গ্যাস মজুদ রাখা উচিত।
উড়িষ্যার ১৪ জেলায় দুর্গা পূজার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রবণ পুরি, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিংপুর, ভাদরাক, বালাসর, গঞ্জমসহ জেলা সদরগুলো ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে রাজ্য সরকার। এসবের সমন্বয় করা হচ্ছে ভুবনেশ্বরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এসএফআই/এমজেডআর