ঢাকা: জেনেভায় শুরু হয়েছে ইরানের পরমাণু সংক্রান্ত আলোচনা। আলোচনার একপক্ষে ইরান, অন্যপক্ষে বিশ্ব শক্তিধর ছয় রাষ্ট্র।
উদারপন্থি হাসান রৌহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইরানের সঙ্গে বিশ্বশক্তিদের এটিই প্রথম আলোচনা। রৌহানি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পশ্চিমারাও নরম সুরে কথা বলে, ইরানও আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু ইস্যু সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে মিত্র ইসরায়েলের জন্য ইরানের পরমাণু কমর্সূচি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অভিযোগ, পারমাণবিক বোমা বানানোর উদ্দেশ্যে এ কর্মসূচি চালাচ্ছে ইরান। কিন্তু ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলছে তাদের এ কমর্সূচি।
দুদিনব্যাপী এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন।
বৈঠকের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. জাভেদ জারিফ বলেছেন, ইরান ও পশ্চিমারা বুধবারের মধ্যে ‘চূড়ান্ত সমাধানে’ পৌঁছানোর ‘পথ’ বের করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
অ্যাস্টনের মুখপাত্র মাইকেল ম্যান বলেছেন, ‘সতর্ক আশাবাদের’ অন্যতম একটি পদক্ষেপ এটি। কিন্তু বিশ্বশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে দেখতে হবে যে, ইরান গঠনমূলকভাবে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে নিজের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ইরান। ইরানের প্রস্তাব শক্তিধর রাষ্ট্রপক্ষ বিবেচনা করবে বলে জানান মাইকেল ম্যান। তিনি জানান, পি+১ ব্লক বসন্তে কাজাখস্তানে ইরানের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরবেন।
ম্যান বলেছেন, চমৎকার একটি চুক্তিতে পৌঁছতে আমরা যেকোনো সময় ও যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের প্রকৃতি নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমাদেরকে এমন এক স্থানে পৌঁছাতে হবে যেখানে ইরানকে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচির কোনো সামরিক উদ্দেশ্যে নেই। আর এটিই হচ্ছে ফলাফল যা চাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে