ঢাকা: অনেকের ধারণা, ২০৩২ সালের ২৬ আগস্ট পৃথিবী বলে কিছু থাকবে না, হারিয়ে যাবে সৌরজগৎ থেকে। এ শঙ্কাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন ইউক্রেনের জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, একটি গ্রহাণু ধেঁয়ে আসছে। যেন তেন গ্রহাণু নয় এটি। বিশালকার গ্রহাণুটির শক্তি দুই হাজার ৫শ পরমাণু বোমার সমান। চওড়ায় তেরশ ফুট। আঘাত হানলে, পৃথিবীর ১০ লাখ বর্গমাইল এলাকা যাবে হারিয়ে।
২০১৩ টিভি১৩৫ নামের ওই গ্রহাণুটি দেখতে পেয়েছে ক্রিমিন অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল অবজারভেটরি। এরইমধ্যে এটিকে দেখতে পাওয়া গ্রহাণুগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বিপজ্জনক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম। ৬৩ হাজার বারের মধ্যে মাত্র একবার এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, পৃথিবীর স্বাভাবিক গতিতে চলার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯ শতাংশ। যদি আঘাত হানে তাহলে পৃথিবীর ১০ লাখ বর্গমাইলে ধ্বংসের সঙ্গে জলবায়ুতেও আসবে মারাত্মক পরিবর্তন।
রুশ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যদি গ্রহাণু পৃথিবী আঘাত হান করে তাহলে এটি পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে যাবে। পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে এর দূরত্ব থাকবে ১০ লাখ মাইল। এ কারণে নাসা গ্রহাণুটিকে ‘সম্ভাব্য অনিষ্টকর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিজ্ঞানীর বিপদের মাত্রা হিসাব করে, এ গ্রহাণুকে দিয়েছে তোরিনো স্কেলের ১০ মধ্যে ১। এর আগে মাত্র একটি গ্রহাণুকে ১ দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বাকি যতগুলো গ্রহাণু দেখা দিয়েছিল বা পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল সেগুলোর রেটিং ছিল শূন্য (০)। পৃথিবীতে আঘাত হানা বা পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে যাওয়া গ্রহাণু বা ধুমকেতুর ভয়াবহতা পরিমাপের স্কেল হচ্ছে তোরিনো।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ সালের দিকে গ্রহাণুটি পৃথিবীর নিকটবর্তী হবে। সেসময় এর গতিবিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারবেন তারা।
২০৪৮ সালে পৃথিবীতে ২০০৭ ভিকে ১৮৪ নামের গ্রহাণুর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ২৭০০ বারের মধ্যে এক বার। ৪২০ ফুট প্রশস্থের গ্রহাণুটির তোরিনো রেটিং ছিল ১।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস