আগরতলা (ত্রিপুরা): গত বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাত বিধায়ক তাদের নিজেদের সম্পদের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছেন। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে।
সাত বিধায়কের মধ্যে ছয়জন শাসক দলের এবং একজন বিরোধীদলের। বেসরকারিভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ ভারতের বিভিন্ন নির্বাচনের উপর নজরদারি করে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরায় একাদশ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন নিয়ে সংস্থাটি বিভিন্ন অনুসন্ধানমূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজেদের যে সম্পদের হিসাব দিয়েছিলো তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেন কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী।
নির্বাচনি প্রচারে বেশি টাকা খরচ করেছেন বর্তমান বিধানসভায় এমন সাতজন নির্বাচিত বিধায়ক রয়েছেন। সাতজনের মধ্যে ছয়জনই সিপিএমের। তারা হলেন- পদ্ম কুমার দেববর্মা, টুনুবালা মালাকার, সুবোধ দাস, মনোরঞ্জন আচার্য, প্রিয়মনি দেববর্মা ও নিরাজয় ত্রিপুরা।
বিরোধীদলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিবাচন্দ্র রাঙ্খল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে দিবাচন্দ্র রাঙ্খল ছিলেন সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হিসেব অনুযায়ী তার মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬ হাজার ৬৯৭ টাকা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তিনি খরচ করেছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
সিপিএমের মধ্যে এ তালিকায় সবচেয়ে প্রথমে রয়েছেন পদ্ম কুমার দেববর্মা। কমিশনে জমা দেওয়া হিসেব অনুযায়ী তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। কিন্তু নির্বাচনে তিনি খরচ করেছেন ৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ জানায়, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম বিধায়করা তাদের ভোট প্রচারে মোট গড়ে ৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা খরচ করেছিলো। অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়করা গড়ে খরচ করে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে।
যদিও কংগ্রেস এবং সিপিএম দু’দলই বলছে ভোট প্রচারের টাকা খরচ করা হয় দলগুলোর নির্বাচনি তহবিল থেকে। এখানে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সম্পদের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৩
টিসি/টিএকে/এএ/জিসিপি