আগরতলা (ত্রিপুরা): সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল দলের সদস্যরাই। আর এই অভিযোগে সিপিএমের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে হীরাছড়া ভিলেজ।
কৈলাশহরের হিরাছড়া পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ৯ জন। যার মধ্যে সাত জন ছিল সিপিএমের এবং ২ জন কংগ্রেস সদস্য।
দীর্ঘ দিন ধরেই এই পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান তিলকুল ডারলঙ্গের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। এই পঞ্চায়েতের তিন সদস্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তারা অনাস্থা আনেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
বুধবার ওই পঞ্চায়েতে আস্থা ভোট নেয়া হয়। এই ভোট ঘিরে চরম উত্তেজনা ছিল। মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। অনাস্থা ভোটে সিপিএমের তিন সদস্য ভোট দেন কংগ্রেসের পক্ষে।
যার কারণে পঞ্চায়েতটি হাতছাড়া হয়ে যায় সিপিএমের। এই পরাজয়ের পর ভিলেজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যদের লোভের কারণে তিনি হেরে গেছেন।
কৈলাশহরের কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিনহা জানিয়েছেন, দুর্নীতির কারণেই এই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। তিনি অভিযোগ করেন সারা রাজ্যেই শাসক দল লাগামহীন দুর্নীতি করছে।
সিপিএমের কৈলাশহর বিভাগীয় সম্পাদক বিজয় রায় জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তাদের আগে কেউ জানায় নি। আস্থা ভোটে যারা দলের বিরুদ্ধাচারণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজ্যের ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে। আর যেগুলি কংগ্রেসের কাছে রয়েছে সেগুলিও শাসক দলের গা ছাড়ায় পালা বদলের প্রক্রিয়া চলছে।
সে জায়গায় অন্য চেহারা দেখল হীরাছড়া। এখানে শাসক দলকে পঞ্চায়েত খোয়াতে হল। তাও দুর্নীতির অভিযোগে। এ ঘটনা রাজ্যের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিরোধীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৩,
টি/ এসএস/জেসিকে