কাঠমান্ডু: নেপালের শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ সরাসরি জড়িত থাকলেও আর মাত্র বারো দিনের মধ্যে এর কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে চলে গেছে দেশটির তত্ত্বাবধায় সরকার ও মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের দাবি, দেশের সংকট পুরোপুরি না গেলে জাতিসংঘ এখান থেকে যাবে না। অন্যদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা চাচ্ছে না।
মাওবাদীদের আইনপ্রণেতা এবং গেরিলা সেনাবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান বর্ষমান পুন অনন্ত বলেন, ‘নেপালে জাতিসংঘের শান্তি মিশন ( ইউএনএমআইএন) পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতাসীন দল তাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই সংসদকে বিলুপ্ত করা এবং একনায়ক সরকার ক্ষমতায় নিয়ে আনার এটি একটি চক্রান্ত। আমাদের দল কোনোভাবেই এই পরিকল্পনার সমর্থন করবে না। ’
উল্লেখ্য, ইউএনএমআইএন ২০০৭ সাল থেকে সেনাবাহিনী এবং মাওবাদীদের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) যোদ্ধাদের তত্ত্বাবধান করে আসছে। এই আইনপ্রণেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জানুয়ারির ১৫ তারিখে নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যদি ইউএনএমআইনের সময় আরও বাড়ানো না হয় তাহলে তার দল সময়সীমা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে, এই গেরিলারা ২০০৬ সালে দশ বছর ধরে চলা সেনা বিদ্রোহ বন্ধ করে এবং পিএলএ দলটিকে বিলুপ্ত করে দিতে সম্মত হয়। কিন্তু শান্তি চুক্তির পরে ২০ হাজার যোদ্ধার ভাগ্যে কি ঘটবে সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়।
যদিও এই চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, পিএলএকে জাতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত করা হবে। কিন্তু সেনাবাহিনী এবং সরকারের কিছু দল এর বিরোধিতা করলে পরিকল্পনাটি বতিল হয়ে যায়। এরপর থেকে মাওবাদীদের বিষয়টি স্তিমিত হয়ে আসে।
এদিকে, নেপালে ইউএনএমআইএন এর আগে সাতবার তাদের সময়সূচি বাড়িয়েছে। এছাড়া ইউএনএমআইএন চলে গেলে তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।
আর মাওবাদীরা ইউএনএমআইএন এর সময়সীমা ২৮ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করার অনুরোধ করে নিরাপত্তা সংস্থা বরাবর চিঠি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর ২০১১