ঢাকা: প্রার্থীদের অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়েও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটায় শেষ হয়।
এদিকে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি শনিবারের নির্বাচনেও কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট লাভ করতে ব্যর্থ হন, তবে নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রোববার আবারও নির্বাচনে লড়বেন।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনেও কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট লাভ করতে না পারায় দ্বিতীয় দফা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে ১১ নভেম্বরের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার তাড়া থাকলেও প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন করতেও একাধিকার বার (২৮ সেপ্টেম্বর ও ১৯ অক্টোবর) তারিখ পরিবর্তন করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।
শেষ পর্যন্ত শনিবারই নির্বাচন সম্পন্ন হলো। ৭ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের মতো আশা করা হচ্ছে এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করবেন পুলিশ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো মোহাম্মদ নাশিদ।
তবে, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপের (পিপিএম) প্রার্থী ও সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের ভাই ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম এবং জমহুরি পার্টির (জেপি) প্রার্থী শিল্পপতি কাসেম ইব্রাহীমও।
অবশ্য ৭ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, নাশিদ ৪৫ শতাংশ ভোট পেলেও ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন ইয়ামিন, আর শিল্পপতি কাসিম ইব্রাহীম পেয়েছিলেন ২৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, পুলিশ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাওয়া মোহাম্মদ ওয়াহিদ পেয়েছিলেন মাত্র ৫ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, মামুন আবদুল গাইয়ুমের দীর্ঘ ৩০ বছরের শাসন শেষে ২০০৮ সালের প্রথম নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন মোহাম্মদ নাশিদ। কিন্তু ২০১২ সালে এক পুলিশ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। তারপর বেশ কিছুদিন অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় পর্যটনের জন্য প্রসিদ্ধ এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শনিবারের নির্বাচনে কোনো সমাধান না হলে রোববার আবারও নির্বাচনী ভোটগ্রহণ চলবে। এতেও কোনো সমাধান না হলে সংসদের স্পিকার ক্ষমতাগ্রহণ করবেন। এরপর সংবিধান অনুসারে আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রথম থেকে শুরু করবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৩
এইচএ/জেসিকে