কলকাতা: কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর আপত্তির মুখে কলম্বোয় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে সম্ভবত যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্মেলনে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ।
শনিবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র। তবে, রোববার এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এদিকে আসন্ন কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। আগামী শুক্রবার থেকে কলম্বোয় শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সম্মেলন।
চিরাচরিত রীতি অনুয়ায়ী ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এআইএডিএমকে, ডিএমকে সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি- এলটিটিই’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরপরাধ তামিলদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার।
এমনকি, ২০০৯ সালে শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তে সায় দেয়নি কলম্বো। তাই দক্ষিণের রাজনৈতিক দলগুলির অভিমত, প্রধানমন্ত্রীর মনমোহন সিংহের শ্রীলঙ্কা সফর বয়কট করা উচিত।
কলম্বো যাওয়া নিয়ে গতমাসেই এ বিষয়ে তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি প্রস্তাবও পাশ হয়। শুধু জয়ললিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আপত্তি রয়েছে খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও।
শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠকে বসে কংগ্রেস কোর কমিটি। তামিলদের ভাবাবেগে আঘাত করে এমন কোনো পদক্ষেপ এই মুহুর্তে সমিচীন নয় বলেই মনে করছে দল।
প্রধানমন্ত্রী কলম্বো সফর বয়কটের পক্ষেই সওয়াল করেছেন নোবেলজয়ী মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা ডেসমন্ড টুটু।
তবে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মত বিজেপি’র। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে আপাতত কিছুটা ধীরে চল নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। এখনও প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে শনিবার জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
কেননা সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তামিল ভাবাবেগে কোনো রকম আঘাত করতে চাইছে না কংগ্রেস। পাশাপাশি কংগ্রেসের লক্ষ্য করুণানিধিকেও এই ইস্যুতে আর না চটানো। দরজা খোলা রাখতে চাইছে জয়ললিতার জন্যও।
আর এইসব সমীকরণের ওপর নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর কমনওয়েলথে যোগ দেওয়ার ভবিষ্যৎ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৩
এসএস/বিএসডি/আরআইএস