ঢাকা: ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়ে চীন ও ভিয়েতনাম অভিমুখে ধেয়ে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান। ভয়ংকর এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় প্রদেশগুলোতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে চীনা সরকার।
চীনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলের হাইনান, গুয়াংডং এবং গোয়াংজি হুয়াং প্রদেশের প্রশাসনকে হাইয়ানের গতি-প্রকৃতির ওপর গভীর পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জনসাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, উপকূল থেকে প্রায় এক লাখ ৭৪ হাজার পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টায় (গ্রিনিচমান সময় বৃহস্পতিবার ২১টায়) ঘণ্টায় ২৭৫ কিলোমিটার বেগে ফিলিপাইনে আঘাত হেনে ব্যাপক প্রাণহানির পর শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে চীনের সানশা শহরের ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্বাঞ্চলে পৌঁছে টাইফুন হাইয়ান। ৫ নম্বর ক্যাটাগরির টাইফুনটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ৩০তম।
চীনের আবহাওয়া পরিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে উত্তরপশ্চিম দিকে সরে আসছে।
আবহাওয়া পরিদপ্তর সতর্কতা দিয়ে আরও জানিয়েছে, হাইয়ান আঘাত হানার আগে হাইনান ও সানশা শহরসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এর আগে, শুক্রবার ভোরে ফিলিপাইনে ঘণ্টায় ২৭৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে হাইয়ান। এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে রোববার সকালে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ।
তাকলোবান শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঝড়ে ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও কয়েকদিন পর সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে বলে জানান তিনি।
দেশটিতে নিযুক্ত রেডক্রসের সেক্রেটারি জেনারেল গুবেনডলিন প্যাং বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে এখানে। খুবই ভয়ানক অবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে