ঢাকা: ফিলিপাইনে আঘাত হেনে রেকর্ড করে গতির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছে সুপার স্ট্রম হাইয়ান। ঘণ্টায় ২৩৫ থেকে ২৭৫ কিলোমিটার বেগে আঘাতকারী ঝড়টি কেড়ে নিয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিপিনোর জীবন।
এখনও নিখোঁজ রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ফিলিপাইনের সাগর আর নদীতে ভাসছে ঘর-বাড়ি, মৃত পশু-পাখি আর মানুষের লাশ।
হাইয়ানের ছোবল থেকে রেহাই পায়নি উপকূলীয় অঞ্চরের দুই লাক অধিবাসী বাড়িঘরগুলো। রাস্তাঘাটে ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে। সবধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ, শুধু সচল রয়েছে স্যাটেলাইট ফোন।
বাড়ি-ঘর সব হারালোও নিজের সন্তানদের হারানোর দুঃখে কাঁদছেন মারভিন ইসানান ও তার স্ত্রী। তাদের দুঃখ অন্য সবার থেকে একটু বেশিই হওয়ার কথা। কেননা তিন মেয়েকে তার বাহু থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হাইয়ানে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস। তার তিন মেয়ের বয়স ৮, ১৩ ও ১৫ বছর।
মারভিন ও তার স্ত্রী লোরেট্টা ছোট মেয়ে দুটির মরদেহ পেয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছে বড় মেয়েটি। নিখোঁজ হওয়া মেয়েকে জীবিত ফিরে পাবার আশায় খোঁজাখুঁজি করছেন তারা।
কাঁদতে কাঁদতে মারভিন বলেন, ‘আমার বড় সন্তানটি নিখোঁজ। আমার বিশ্বাস, সে বেঁচে আছে। ’
ফিলিপাইনের সাগর আর নদীর পানিতে এখন ভাসছে লাশ আর লাশ। ট্যাকলোবান বিমানবন্দরের নিজের বাড়িটি যখন জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছিল তখন নিজেকে বাঁচাতে একটি গাছে উঠেন এক নারী। তিনি পানিতে লাশ ভেসে যেতে দেখেছেন।
শুক্রবার ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় পাঁচ নম্বর ক্যাটাগরির টাইফুন হাইয়্যান আঘাত হানে। চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা ২৪ নম্বর এ ঘূর্ণিঝড়টি রেকর্ড গতিতে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৩
এসএফআই/এসআরএস